রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল

সাবেক শিবির নেতার দাপটে অতিষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা   



স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
সাবেক শিবির নেতা সাইফুল ইসলাম

সাবেক শিবির নেতা সাইফুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন সাইফুল ইসলাম। সেই সুবাদে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরি। বয়স অল্প হলেও স্বল্প দিনেই চড়ে বসেছেন বড় পদে। বর্তমানে তিনি রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তার ওপরের পদে আছেন শুধু হাসপাতালের পরিচালক। তবে পরিচালককে কৌশলে চাপে রেখে একক কর্তৃত্বে হাসপাতাল চালাচ্ছেন সাবেক শিবির নেতা সাইফুল।

হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনে ব্যাপক রদবদলের পর হাসপাতালের আয়ের অর্থ সরিয়ে জামায়াত-শিবিরকে দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তবে সাইফুল ইসলাম ব্যাংক হাসপাতাল থেকে বিভিন্নভাবে বড় অংকের টাকা সরিয়ে গোপনে জামায়াত-শিবিরকে সরবরাহ করে আসছেন। প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহে হাসপাতালে নিজ কার্যালয়ে বসে প্রকাশ্যে জামায়াত-শিবিরের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বসে বৈঠকও করেন।

কর্মকর্তাদের অভিযোগ, হাসপাতালের আয়ের অর্থের হিসাব নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললেই তাকে নানাভাবে হয়রানি শুরু করেন সাবেক শিবির নেতা সাইফুল। হাসপাতালে বসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানো বিষয়ে কথা তুলেও অনেক সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তার রোষানলে পড়তে হয়েছে। ভাগ্যে জুটেছে বদলি আর শোকজ। এছাড়া হাসপাতালের নার্সদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। ফলে তার খাম-খেয়ালিপনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এদিকে, সম্প্রতি হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলে সাইফুলের অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস ও অর্থ কেলেঙ্কারী বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছে। তবে এ নিয়ে এখনি কিছুই বলতে রাজি হননি পুলিশ কর্মকর্তারা।

অপরদিকে, সাইফুলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের তদন্ত দলও কিছুদিন আগে রাজশাহী এসে তদন্ত করে গেছেন। তবে এখনও সেই তদন্তের প্রতিবেদন জমা পড়েনি। এর আগেও এমন তদন্ত হলেও ঘুষ দিয়ে তদন্ত টিমকে খুশি করে অনিয়ম, দুর্নীতির চিত্র ঢেকে ফেলেন চতুর প্রকৃতির সাইফুল।

আরএমপি কমিশনারকে দেয়া অভিযোগে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উল্লেখ করেছেন, ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদে বড় ধরনের পরিবর্তনের পর হাসপাতালটির রাজশাহী শাখার পরিচালক পদেও পরিবর্তন হয়। স্বাধীনতা চিবিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. এসআর তরফদারকে পরিচালক করা হয়। কিন্তু কৌশলে দ্বিতীয় শীর্ষ পদে থেকে যান শিবির ক্যাডার সাইফুল আলম। ফলে পরিচালক হাসপাতালে কী কী কর্মকাণ্ড করেন, সেই খবর গোপনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পৌঁছে দেন তিনি।

অভিযোগে আরও বলা হয়, কয়েক মাস আগে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বনভোজনের নামে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে সাইফুল প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। অথচ বনভোজনের সকল খরচ হাসপাতালের ফান্ড থেকে পরিশোধ করা হয়। ফলে ওই টাকা সাইফুল আত্মসাত করেছেন। টাকার বড় অংশই তিনি গোপনে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের সরবরাহ করেছেন। এসব নিয়ে কথা বললেই সাইফুল সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। বদলি এবং শোকজ করেন কলমের খোঁচায়। তার কারণে অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চেম্বার ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়, পরিচালক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্যক্তি হলেও সাবেক শিবির নেতা সাইফুল তাকে কৌশলে হাত করেছেন। সাইফুল ও তার অনুসারীদের কৌশলে বাধ্য হয়ে সম্প্রতি সাইফুলের বদলি ঠেকিয়েছেন খোদ পরিচালক। ফলে বহাল থাকা সাইফুল আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তার কর্মকাণ্ডে ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের রাজশাহীর সবগুলো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

অভিযোগ বিষয়ে ফোনে সাইফুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘হাসপাতালে প্রায় ৪০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। প্রশাসনিক পদে আছি, সবার সঙ্গে তো সুসম্পর্ক থাকে না। যাদেরকে সুবিধা দেওয়া হয় না তারা হয়তো এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।’

জানতে চাইলে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল পরিচালক ডা. এসআর তরফদার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, “হাসপাতালে আমি ছাড়া সবাই তো প্রায় জামায়াত-শিবির। সবাইকে তো আর ছাঁটাই করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় আমি সাইফুলকে সতর্ক থাকতে বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, ‘স্যার, আগে জামায়াত-শিবির করেছি। কিন্তু এখন আর সেসব চলবে না জানি। তবে চাকরি তো করতে হবে, সংসার বাঁচাতে হবে।’ তার এমন কথায় আমি মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে শুধরানোর সুযোগ দিয়েছি।’

সাইফুলের বিরুদ্ধে বলতে অপরাগতা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে পুলিশ কর্মকর্তারা তদন্ত করতে এসেছিল, আমি তাদেরকে বলেছি ঘটনা সত্য নয়। তাছাড়া আর কী-ই বা বলার ছিল আমার?’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডু উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে সাইফুল আলম। স্থানীয় মানুষ ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরাও তাকে ‘ডেঞ্জারস’ বলে চেনে। ছাত্র জীবনে তিনি মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অস্ত্র এনে শিবিরকে সরবরাহ করতেন বলেও এলাকায় মানুষের মুখে মুখে। ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজে পড়াশোনার সময়ে কলেজ ভিপি মোসাব্বের হোসেন লাল্টুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে ক্যাম্পাসের মূর্তমান আতঙ্ক ছিলেন সাইফুল।

   

ডোনাল্ড লুর সফরে ভিসানীতি নিয়ে আলোচনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফরে ভিসা নীতি ছাড়াও র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয় উঠে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (১৩ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলাপকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। সুতরাং, মার্কিন প্রশাসন থেকে যারাই বাংলাদেশে সফর করুক না কেন, আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করবো।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও দুই দেশের নানা ক্ষেত্রে সম্পর্ক আছে, সেগুলো নিয়েও আলোচনা হবে। ভিসা নীতি বা র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আমাদের সম্পর্কে কিছুটা ব্যাঘাত করেছিল ঠিকই, তবে সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পাশাপাশি এগুলো যাতে সহজীকরণ করা হয় সেজন্য আমরা ইতোপূর্বে মার্কিন প্রশাসনের হোয়াইট হাউস স্টেট ডিপার্টমেন্টের যেসব কর্মকর্তারা এসেছিল, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেই প্রসঙ্গগুলো স্বাভাবিকভাবেই আসতে পারে।

বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপির আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করা। তবে তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ হলো বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ছাড়াই পদ্মা সেতু নির্মাণ। নিন্দুকের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু হয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে সিপিডি-টিআইবিসহ অন্যান্য সমালোচনাকারীদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে যেকোনো উন্নয়ন সম্ভব- সেটির বড় প্রমাণ পদ্মা সেতু বলেন তিনি।

;

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন

রাজশাহীতে তৃতীয় ধাপে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার মোট ৩৩ জন প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ঘোষণা করেন।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে পবা ও মোহনপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ১১ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ১৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মোহনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- মো. ওয়াজেদ আলী খাঁন (মোটরসাইকেল), মো. ফারুক হোসেন ডাবলু (আনারস), মো. এমদাদুল হক এমদাদ (ঘোড়া), মো. সাইফুল বারী ভুলু (কাপ পিরিচ), মো. আব্দুর রশিদ (দোয়াত কলম) ও ডেভিড রিচার্ড মুর্মু (হেলিকপ্টার) প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- মো. ফরিদুল ইসলাম রাজু (টিউবওয়েল), মো. শহিদুল ইসলাম (বই), মো. কামরুজ্জামান (টিয়া পাখি), মো. নাজমুল ইসলাম (তালা), মো. রফিকুল ইসলাম (উড়োজাহাজ), মো. সরওয়ারে আলম মানিক (গ্যাস সিলিন্ডার), শ্রী প্রদীপ কুমার সাহা (মাইক) ও মো. আসাদুজ্জামান আসাদ (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- মোসা. আরজিয়া বেগম (কলস), মোসা. হাসিনা খাতুন (ফুটবল), মোসা. চেনবানু ( হাঁস) ও মোসা. পপি খাতুন (বৈদ্যুতিক পাখা) প্রতীক পেয়েছেন।

মোহনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- এনামুল হক (ঘোড়া), আল-মোমিন শাহ গাবরু (কাপ পিরিচ), আলমগীর মূর্শেদ রঞ্জু (মোটরসাইকেল), মেহেবুব হাসান রাসেল (দোয়াত কলম), আফজাল হোসেন বকুল (আনারস)।

মোহনপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- বিন-বিল্লাহ (টিউবওয়েল), খোন্দকার মশিউর রহমান (উড়োজাহাজ), হাবিবুর রহমান মিঠু (তালা), আব্দুর রউফ (টিয়া পাখি), কবির হাসান (চশমা)।

মোহনপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- রাবিয়া খাতুন শিমা (কলস), সানজীদা রহমান (প্রজাপতি), ডলি আক্তার (ফুটবল), শ্রীমতি পলি রানী (সেলাই মেশিন), হাবিবা বেগম (পদ্মফুল)।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮ টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পবা উপজেলায় ভোট কেন্দ্র সংখ্যা ৮৪টি, ভোট কক্ষের সংখা ৬২৬টি, মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৬০ হাজার ৮৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৩০ হাজার ৯০১ জন ও মহিলা এক লাখ ২৯ হাজার ৯৩৪ জন এবং হিজড়া ৩ জন।

;

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন

রাজশাহীতে তৃতীয় ধাপে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার মোট ৩৩ জন প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ঘোষণা করেন।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে পবা ও মোহনপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ১১ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ১৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মোহনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- মো. ওয়াজেদ আলী খাঁন (মোটরসাইকেল), মো. ফারুক হোসেন ডাবলু (আনারস), মো. এমদাদুল হক এমদাদ (ঘোড়া), মো. সাইফুল বারী ভুলু (কাপ পিরিচ), মো. আব্দুর রশিদ (দোয়াত কলম) ও ডেভিড রিচার্ড মুর্মু (হেলিকপ্টার) প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- মো. ফরিদুল ইসলাম রাজু (টিউবওয়েল), মো. শহিদুল ইসলাম (বই), মো. কামরুজ্জামান (টিয়া পাখি), মো. নাজমুল ইসলাম (তালা), মো. রফিকুল ইসলাম (উড়োজাহাজ), মো. সরওয়ারে আলম মানিক (গ্যাস সিলিন্ডার), শ্রী প্রদীপ কুমার সাহা (মাইক) ও মো. আসাদুজ্জামান আসাদ (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- মোসা. আরজিয়া বেগম (কলস), মোসা. হাসিনা খাতুন (ফুটবল), মোসা. চেনবানু ( হাঁস) ও মোসা. পপি খাতুন (বৈদ্যুতিক পাখা) প্রতীক পেয়েছেন।

মোহনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- এনামুল হক (ঘোড়া), আল-মোমিন শাহ গাবরু (কাপ পিরিচ), আলমগীর মূর্শেদ রঞ্জু (মোটরসাইকেল), মেহেবুব হাসান রাসেল (দোয়াত কলম), আফজাল হোসেন বকুল (আনারস)।

মোহনপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- বিন-বিল্লাহ (টিউবওয়েল), খোন্দকার মশিউর রহমান (উড়োজাহাজ), হাবিবুর রহমান মিঠু (তালা), আব্দুর রউফ (টিয়া পাখি), কবির হাসান (চশমা)।

মোহনপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- রাবিয়া খাতুন শিমা (কলস), সানজীদা রহমান (প্রজাপতি), ডলি আক্তার (ফুটবল), শ্রীমতি পলি রানী (সেলাই মেশিন), হাবিবা বেগম (পদ্মফুল)।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮ টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পবা উপজেলায় ভোট কেন্দ্র সংখ্যা ৮৪টি, ভোট কক্ষের সংখা ৬২৬টি, মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৬০ হাজার ৮৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৩০ হাজার ৯০১ জন ও মহিলা এক লাখ ২৯ হাজার ৯৩৪ জন এবং হিজড়া ৩ জন।

;

খুলনায় ভোক্তার অভিযান, জরিমানা আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
খুলনায় ভোক্তার অভিযান, জরিমানা আদায়

খুলনায় ভোক্তার অভিযান, জরিমানা আদায়

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে কে.বি. ব্রিকস নামের এক ইটভাটায় ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (১৩ মে) খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলাধীন খর্নিয়া এলাকায় তদারকিমূলক অভিযানে এ জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

জানা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় সোমবার দুপুরে খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় খর্নিয়া এলাকার কে.বি. ব্রিকস-কে মূল্যে তালিকা প্রদর্শন না করা ও প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথ বিক্রয় না করার অপরাধে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করে।

তদারকিকালে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্য নিলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন।

অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীদেরকে সচেতন করার পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম এর নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের অন্যান্য সদস্য ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

;